শেষ ওভারে ছক্কায় রুদ্ধশ্বাস জয়, সেরা চারে খুলনা

শেষ ওভারে ছক্কায় রুদ্ধশ্বাস জয়, সেরা চারে খুলনা

শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র ৫ রান। হাতে ৬ উইকেট। ম্যাচটি হেসেখেলেই জেতার কথা ছিল খুলনা টাইগার্সের। কিন্তু রিস টপলের শেষ ওভারের প্রথম চার বলে এলো মাত্র দুই রান। ফলে ২ বলে দরকার পড়ে ৩ রান। জমে উঠে ম্যাচ।

পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে উত্তেজনায় জল ঢালেন উইলিয়াম বসিস্তু। খুলনা পায় রুদ্ধশ্বাস এক জয়। সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকায় সেরা চারে উঠে এসেছে খুলনা। সিলেট রয়ে গেছে তলানিতেই।

লক্ষ্য খুব বড় ছিল না, ১৫৩ রানের। নাইম শেখকে নিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৭ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতে তারা তোলেন ৬২ রান। নাইম অবশ্য আরও একবার ধীর খেলেছেন। ১৭ বলে ২০ করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।

২৯ বলে ফিফটি পূরণ করেন মিরাজ। এর মধ্যে ৫ বলে ৩ রান করেই আউট হয়ে আসেন আফিফ হোসেন। তবে মিরাজ একটা প্রান্ত ধরে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন।

খুলনাকে একশ পার করে দিয়ে আউট হন মিরাজ। ৫০ বলে ৭০ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ৮টি চার আর দুটি ছক্কা হাঁকান খুলনা দলপতি।

এরপর ১৩ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে দিয়ে যান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এরপর দুই বিদেশি উইলিয়াম বসিস্তু আর অ্যালেক্স রসের ব্যাটে জয় পায় খুলনা। বসিস্তু ১১ বলে ১৯ আর রস ২৩ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে শেষের দিকে খুলনার দুর্দান্ত বোলিংয়ে পুঁজি বড় হয়নি সিলেট স্ট্রাইকার্সের। অথচ ১৪ ওভার শেষে সিলেটের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১২২ রান। শেষ ৬ ওভারে (৩৬ বলে) তারা তুলতে পেরেছে মাত্র ৩০ রান। হারিয়েছে ৫ উইকেট।

শেষের দিকে এসে সিলেটকে চেপে ধরেন হাসান মাহমুদ, সালমান ইরশাদরা। তাদের দুর্দান্ত ডেথ বোলিংয়ে ৯ উইকেটে ১৫২ রানেই থামে আরিফুল হকের দল।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেলেও পরে জর্জ মুনসে আর জাকির হাসানের ব্যাটে ভালো অবস্থানে ছিল সিলেট।

মুনসে ৩২ বলে ৬ চার আর ৪ ছক্কায় ৫৮ করে আউট হন। ৩২ বলে ৪৪ করেন জাকির। এই দুই ব্যাটার আউট হওয়ার পরই খেই হারিয়ে ফেলে সিলেট।

পরের পাঁচ ব্যাটারই আউট হয়ে যান দশের আগে। শেষদিকে ৫ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১২ করেন সুমন খান।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Below Post Ad